রহস্য জানতে হলে পড়তে হবে!
রহস্য জানতে হলে পড়তে হবে!
ইমাম তাবারানী,আল্লামা হাকেম এবং আল্লামা মুহিবুদ্দীন আত্ তাবারী বলেছেনঃ-
হযরত আ ব্দু ল্লা হ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে
তিনি বেলেছেন, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি কাবার পাশে রুকনে ইয়ামিন ও মাকামে ইব্রাহি মের মধ্য বর্তী স্থানে দন্ডা য়মান হয়ে নামাযও পড়ে এবং সেই সঙ্গে রোযা রাখে অতঃপর এই অবস্থায় আ ল্লাহ-র সঙ্গে তার মোলাকাত হয় যে,সে মুহা ম্মদ (সাঃ) এঁর আহলে বাইয়াত পাকের সাথে দুশমনি রাখে তাহলে সে জাহা ন্নামে প্রবেশ করবে।
দলিল
আল – মুস্তা দরাক হাকেম ৩:১৭৪/ ৪৭৭৫
মুহি বুদ্দিন আত তাবারী ৫১পৃ:
আল- মা’রি ফাতু ওয়াত তারীখ ১:৫০৫পৃ:
দেখুন এই হাদিস থেকে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
ধরুন, কোন ব্যক্তি হজ্ব বা ওমরা করতে গিয়ে মক্কা শরীফে ইন্তেকা ল কর লেন,তা হলে আপনি সেই লোকটিকে কি বলবেন? বলবেন, লো কটি কী নসিব নিয়ে এসেছে। সে হজ্ব করতে গিয়ে পবিত্র ভূমি মক্কা শরীফে ইন্তে কাল করলেন। সে সোজা জান্না তি। আবার ধরুন, কোন ব্যক্তি ঘড়ে নামাজ পড়ছিলেন এবং নামাজরত অবস্থায় ই ন্তেকাল করলেন। তাহলে আপনি বলবেন সে কতবড় ভাগ্য নিয়ে পৃথি বীতে এসে ছিলো।সে নামায পড়তে পড়তে সোজা আল্লাহর কাছে চলে গে ল।আবার কোন ব্যক্তি রো যারাখা অবস্থায় ইন্তে কা ল করলেন, তাহলে আপনি তাকে বলবেন, সে একেবারে জা ন্নাতে গিয়ে ইফতার করবে। এ ই তিনটি শর্তের মধ্যেও
রহস্য জানতে হলে পড়তে হবে!
যদি কোন একটি শর্ত কারও জন্যে আসে তা হলে আপনি তাকে জান্নাতি বলবেন।
আর আল্লহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন,একটি নয়,যদি তিনটি সৌভাগ্য ই তার জন্য আসে,অর্থাৎ সে রোযা রেখেছে এবং রোযার অবস্থায় শুধু মক্কা শরীফ নয় মক্কা শরীফে হারাম শরীফের ভেতরের উত্তম জায়গায়
রকুনে ইয়ামান ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যেবর্তি স্থানের মত এত পবিত্র স্থানে আল্লাহর ঘড় কাবাকে সামনে রেখে,নামায রত অবস্থায় ইন্তেকাল করলো, আর যদি
রহস্য জানতে হলে পড়তে হবে!
সে আহলে বাইয়াত পাকের প্রতি বিদ্বেষ রাখে,দুশমনি রাখে তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
অর্থাৎ আহলে বাইয়াতের সাথে যারা দুশমনি রাখে তাদের না নামায কবুল হবে,না রোযা কবুল হবে না হজ্ব কবুল হবে।এমনকি সারাজীবনের ইবাদাত-বান্দেগী বরবাত হবে। উপরে দলিল দেওয়া আছে।