কদরের দিন কি কদরের রাতের মতই গুরুত্ববহ
ক্বদরের দিন ক্বদরের রাতের মতই গুরুত্ব বহ
ইমাম সাদেক আ. বলেন:
«لَیْلَةُ الْقَدْرِ فِی کُلِّ سَنَةٍ وَ یَوْمُهَا مِثْلُ لَیْلَ تِهَا»
প্রতি বছরই শবে ক্বদরের রাত রয়েছে, এর দিন রাতের মতই (সমান গুরুত্ব পূর্ণ)!
[ বিহারুল আনোয়ার, খন্ড: ৯৫, পৃষ্ঠা:১১২]
ইমাম সাদেক আ. থেকে আরেকটি রেও য়ায়েত হয়েছে:
رُوِیَ عَنْ أَبِی عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ:
«صَبِیحَةُ یَوْمِ لَیْلَةِ الْقَدْ رِ مِثْلُ لَیْلَةِ الْقَدْ رِ فَا عْمَلْ وَ ا جْتَهِدْ.»
লাইলা তুল ক্বদর এর দিনের বেলা, এর রাতের মতই; অতএব আমল করো এবং চেষ্টা- প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও।
[ শেইখ সাদুক সাহেবের আলআমালি গ্রন্থ, পৃষ্ঠা৬৪৪]
এছাড়াও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা আল কদরে পরি ষ্কার করে লাই লাতুল কদর সম্পর্কে
বলেন,
انا انزلناه في ليله القدر 1 وما ادراك ما ليله القدر ليلة 2 ليله القدر خير من الف شهر3
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে 2 শবে কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন ? 3 শবে কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ
ক্বদরের দিন কি ক্বদরের রাতের মতই গুরুত্ব।
হয় যে শবে কদর রমজান মাসে কিন্তু সঠিক তারিখ সম্পর্কে আলেমগণ এর বিভিন্ন উক্তি রয়েছে যা সংখ্যায় 40-50 পৌঁছেছে।
তাফসীরে মাযহারীতে আছে, এসবের নির্ভুল তথ্য এই যে, শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে আসে কিন্তু এর কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নেই বরং যেকোনো রাত্রি হতে পারে
সহীহ বুখারীর এক সহীহ বুখারীর এক রেওয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন تحروا ليله القدر في العشر الاواخر من رمضان রমজানের শেষ দশকে শবে কদর অন্বেষণ কর।
সহীহ মুসলিমের রেওয়াতে আছ فاطلبوها في الوتر منها সেই দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে তালাশ করো
এছাড়াও সমস্ত ঐশী কিতাব রমজানে অবতীর্ণ হয়েছে।
হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সহিফা সমূহ 3রা রমজানে, তাওরাতে 6এ রমজানে, ইঞ্জিল 13 রমজানে এবং জবুর 18 রমজানে অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র কুরআনুল কারীম 20 শে রমজানুল মোবারক নাযিল হয়েছে (মাজহারী)
তাই বলা যায় যে, انا انزلناه في ليله القدر কদরের রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে তাই এই রাত গুরুত্ববহ।
تنزل الملائكه والروح
এখানে রুহ বলতে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম কি বুঝানো হয়েছে হাদিসে এসেছে শবে কদরে জিবরাইল ফেরেশতা দের বিরাট একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজ অথবা মশগুল থাকে তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।
من كل امر
অর্থাৎ, ফেরেশতাগণ শবে কদরে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলী নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে কেউ কেউ একে এর বিশেষণ সাব্যস্ত করে অর্থ বলেছেন প্রত্যেক শাস্তি ও কল্যাণকর বিষয় নিয়ে আগমন করেন।
(ইবনে কাসির)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শেষ আয়াতে বলেছেন,
هي حتى مطلع الفجر অর্থাৎ, শবে কদরের এই বরকত কোন বিশেষ অংশে সীমিত নয় বরং ফজরের উদয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
আল্লামাহ মজলিসি (রহ.) বলেন, ‘রেওয়ায়েত গুলো থেকে আমরা যা পাই তা হচ্ছে, লাইলাতুল ক্বদর এর দিনের বেলা, এর রাতের বেলার মতই। সুতরাং এর দিনের বেলাতেও দোয়া, আমল, ইবাদত করো; অলসতা করোনা। শুধু রাতে যেগুলি আমল করেছো তার উপরে নির্ভর করে বসে থেকো না।