HISTORY

ইরানের ইসলামী বিপ্লব চতুর্থ পর্ব .

"<yoastmark

ইরানের ইসলামী বিপ্লব

ইরানের ইসলামী বিপ্ল বের দিনগুলি

৪র্থ পর্ব

১৯৭৮ সালের ২৯ শে মার্চ। পরিস্থিতি তখনও থমথমে। মানুষ শাহের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ।

কোমের বিক্ষোভে গুলির পর তাব্রিজের শোকানুষ্ঠানে নৃশংস হামলা; মানুষের ধৈর্যের বাধ যেন ভেঙ্গে যাচ্ছিল।

তাব্রিজের শহীদদের স্মরণে শোকানুষ্ঠান শেষ করেই ক্ষুব্ধ জনতা দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে।

তারা প্রকাশ্যে শাহের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। হত্যা কান্ডের পুণরাবৃত্তির ব্যাপারে মানুষ রূপী হায়েনাদের সতর্ক করে দেয়া হয়।

২৯ শে মার্চ কোন অঘটন না ঘটলেও ৩০ শে মার্চ ইরানের আরেক শহর ইয়াযদের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়।

ইমাম খোমেনী (রহ.)-র ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ সাদুকি ইমামের মুক্তির দাবিতে ইয়াযদ জামে মসজিদে এক সমাবেশের আয়োজন করে ছিলেন।

সমাবেশ শেষে উপস্থিত জনতা রাস্তায় শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

সেদিনের বিক্ষোভ ও শান্তি পূর্ণভাবে শেষ হতে দেয়নি শাহের বাহিনী। বিক্ষোভ কারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

ঐ হামলায় ১৫ জন বিক্ষোভ কারী শহীদ এবং আরও অনেকে আহত হন।

কিন্তু সেদিন শাহের বাহিনী গুলি চালিয়েও বিক্ষোভ বন্ধ করতে পারেনি।

ওই বিক্ষোভ টানা তিনদিন অব্যাহত ছিল। শাহের নির্যাতন যত বাড়ছিল আন্দোলনও ততটাই বেগবান হচ্ছিল।

ইসলামী বিপ্লবের সেই দিন গুলির ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,

শহীদদের স্মরণে আয়োজিত শোকানুষ্ঠান গুলো ইসলামী বিপ্লবকে সফল করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

বিভিন্ন মুসলিম দেশের মতো ইরানেও কেউ মারা গেলে এর তৃতীয়, সপ্তম ও চল্লিশতম দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসব অনুষ্ঠানে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ শুভানুধ্যায়ীরা অংশনেন এবং মরহুমের পরকালীন শান্তির জন্য দোয়া করেন।

ইরানে বিপ্লবের দিন গুলিতে স্বৈরাচারী শাহের বাহিনীর হাতে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন দিবসে যেসব অনুষ্ঠান হতো, তাতে মানুষের ব্যাপক সমাবেশ ঘটতো।

কোন কোন শহীদের স্মরণে ইরানের প্রায় সকল শহরে শোকানুষ্ঠা নের আয়োজন করা হতো।

এর প্রধাণ কারণ হলো, শহীদদের প্রতি জনগণের গভীর শ্রদ্ধা বোধ।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব

সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা জীবনদান করেন,ইরানীরা তাদেরকে অতি আপনজন বলে মনে করে।

শহীদদের স্মরণকে তারা অপরিহার্য বলে বিশ্বাস করেন। কাজেই শাহপ্রতিটি হত্যার মাধ্যমে নিজেরই পতন ডেকে আনছিলেন।

একেকটি শাহা দাতের ঘটনা অন্তত তিনটি শোক সমাবেশের ক্ষেত্র প্র স্তুত করতো।

শহীদদের স্মরণে তৃতীয় ,সপ্তম ও চল্লিশ তম দিবসে যেসব অনুষ্ঠান হতো,

তার প্রত্যে কটিতে স্বাভাবিক ভাবেই স্বৈরাচারী শাহের বিরুদ্ধে কথা বার্তা হতো এবং বিপ্লবী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেত।

শহীদদের রক্ত যাতে বৃথা না যায়, সে ব্যাপারে ইরানীরা শপথ নিতো।

ইরনের সমকালীন ইতিহাস সম্পর্কে পাশ্চাত্যের লেখক জন ফুরান একটি বই লিখেছেন। ‘কঠোর প্রতিরোধ’ নামক ঐ বইয়ে।

তিনি বিপ্লব সফল করার ক্ষেত্রে চেহলাম অনুষ্ঠানের ভূমিকা সম্পর্কে লিখেছেন,

শাহ সরকার চেহলাম উপল ক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ গুলোর বিষয়ে আগে থেকে ভাবতেও পারেনি।

ইরানে কেউ শহীদ হলে তাদের ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী শাহাদাতের চল্লিশ তম দিবসে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

১৯৭৮ সালের ৯ই জানুয়ারি কোম শহরে যারা শহীদ হয়েছিল তাদের স্মরণে

১৮ই ফেব্রুয়ারি তাব্রিজ, কোম, মাশহাদ এবং আরও নয়টি শহরে চেহলামের আয়োজন করা হয়।

পুলিশ তাব্রিজের অনুষ্ঠানে সেদিন এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে। এরপরই ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসে।

তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। ঐ ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারায়।

তাব্রিজের শহীদদের চেহলাম দিবসে ৫৫ টি শহরে পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষ হয়।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব

ইরানের জনগণের মাঝে প্রথম দিকে যে ভীতি কাজ করছিল ক্রমান্নয়ে তা দূরীভুত হয়

এবং শাহের দমন- পীড়ন আন্দোলনে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ত তাকে আরও বেশি জোরদার করে।

আর এর মাঝে নির্বা সনে থেকেই ইমাম খোমেনী (রহ.) নিয়মিত দি ক-নি র্দেশ নামূলক বাণী পাঠাতে থাকেন।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব

ইমামের বক্ত ব্যে বারবারই আশাবাদ ফুটে ওঠত। তার আশাবাদ থেকে জনগণ শক্তি ও সাহস সঞ্চয় করতেন।

ইমাম খোমেনী (রহ.) সব সময় ঐক্য বজায় রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

এর ফলে মানুষ ঐক্য বদ্ধ ভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে এবং পরি স্থিতির দ্রুত পরি বর্তন ঘটতে থাকে।

এর কয়েক মাস আগেও ইরানে ভালো কোন বিশেষণ যোগ না করে শাহের নাম উচ্চারণ করলে

বা তার সামা ন্যতম সমা লোচনা করা হলে কঠোর শাস্তি পেতে হতো।

শুধু শাহ নয় তার পরি বারের কারো সমা লোচনা করা নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু আন্দোলন বেগবান হবার সাথে সাথে সেসব নিষে ধাজ্ঞার কার্যকা রিতাও লোপ পায়।

ইরানের জনগণ তাদের নিজস্ব মত- পা র্থক্য ভুলে ইমাম খোমেনী (রহ.)-র নেতৃ ত্বে ঐক্য বদ্ধ থাকতে পেরে ছিলেন

বলেই আজ স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়ে ছেন এবং স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে পারছেন।

সংগৃহীত

ইরানের ইসলামি বিপ্ল ব,ইস লামী বিপ্ল ব,দ্বি তীয় বিশ্ব যুদ্ধ – পর্ব ১ম,ইরান বিপ্ল ব,যত  বি প্লব, রুশ বিপ্লব, ইরা নের ঘট না, শিল্প বিপ্লব,

ইরানের রহস্য, ইসলামের ইতিহাস, সংগঠিত বিপ্ল ব,দে শে দেশে বিপ্লব, ইসলাম, ইরানের অজানা তথ্য, ইরা নের সেনা বাহিনী,

ইসলামের ইতিহাস : নববী যুগ থেকে বর্ত মান,ইস লামের ইতিহাস ও সং স্কৃতি দ্বিতীয় প ত্র, কাজী আশরাফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম শান্ত, ইস লামের ইতিহাস ও সংস্কৃ তি,

ইরান ও ইরাকের যুদ্ধ, ইরানিরা কি মুস লিম, উচ্চ মাধ্য মিক ইসলামের ইতিাহাস ও সংস্কৃ তি,ইরা কের সামরিক বাহিনী, বাংলা ১ম পত্র, ইরা নের ইসলামী বিপ্ল বের ইতিহাস,

ইরানের ইসলামী বিপ্লব চতুর্থ পর্ব

ইরানের ইসলামী বিপ্লব, ইস লামী বিপ্লব, ইস লামি বিপ্লব, ইরানের ইসলামিক বিপ্ল বের ইতি হাস,ইরা নের ইসলামী বিপ্লবে, ইরা নের ইসলামি বিপ্লব, পাকি স্তান ইরানের মতো ইসলামী বিপ্লব চায়,

ইরান বিপ্লব, ইরা নের বিপ্ল ব, ইস লামী বিপ্লব চায়- ইমরান খান, ইরানি বিপ্লব, ইরানের ইসলামি প্রজা তন্ত্র হিসেবে আত্ম প্রকাশ, বিপ্লব, ইরানের, বিপ্ল বের গান, ইরানের ইমাম খোমেনী, ইরানের ইতিহাস,

১৯৭৯ সালের বিপ্লব, ইসলামী প্রজা তন্ত্র, ইরানের সবচেয়ে বেশি, ইরানের মুসল মানদের নির্যা তন, ইরান বিপ্ল বের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহ যোগী দের।

primary job written exam preparation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button